Saturday, July 28, 2007

অসহায় দিন

বড্ড অসহায় একটা দিন। আজ আলো আছে প্রচুর। তবুও ঝড়া পাতার কাব্য বাজছে ক্ষনে ক্ষনে। সময়কে সহনশীল করে তুলতে আরো একবার টানা পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কাল শুভর সাথে কথা হয়েছিল। রেল লাইনের সাথে এখনো আমার দেশের দুরালাপনির বুঝি একটা গোপন সম্পর্ক আছে। তাই শুভর কথাগুলোয় ছিলো ঝমঝম কলরব। পায়ে হেটে শিখতে আর মন চায় না। তাই এবার ২চাকা খুজছি। তথাপি, ক্যামেরাটা এখনো কাঁদে। হায়রে!!!

অপেক্ষার প্রহর গুনছি; আবার জিয়ন আলোর ঝলসে উঠবে। আপাতত এই ২৩ ডিগ্রি বালুচরে...

Sunday, July 22, 2007

আজ বৃষ্টি যদি না থামে...

খুব মনে পড়ছে পুরানো বৃষ্টি ভেজা দিনগুলোর কথা। আসলে প্রকৃতির কাছে এক অদ্ভুত স্মৃতি ডাইরি আছে, যেখানে সে ধরে রাখে তার সাথে আমাদের সকল দেখা হওয়া দিনগুলোকে। আসলে প্রকৃতি আমাদের ভালোও বাসে ঠের। আজ ঝমঝম বৃষ্টি। এমন দিনগুলোতে খুব মনে হয়, কেউ যদি অনেক টাকা দিয়ে বলতো শুধু ছবি তুলতে ঘুরে ঘুরে তাহলে হয়তো আমি সব ছেড়ে নেমে পড়তাম। হাটতাম, ঘুরতাম, ভাত খেতাম মাছ দিয়ে আর ছবি তুলতাম।

ছবি তুলতাম মানুষের। ভিজে যাওয়া একদল মানুষের। হাতে পায়ে হাটাহাটি করে যে মানুষরা, তাদের।
ভেজা মাটির সোদা গন্ধ আর মানুষের মাঝে মিশে যাওয়া পুরানো ১টা দিন।
তারপর অন্ধগগনে দাড়িয়ে থাকা হাজার ফেটা বৃষ্টি সব ছুটে আসে।

আমি... তাকিয়ে থাকি। আর আমার ক্যামেরা ঘুমায় একমুঠ সিলিকা দানার মাঝে।

Monday, July 9, 2007

দুর পাহাড়ের ধারে গোধুলীর আলো মেখে

রিকশাটা মৃদু দুলছে। বেশ মিষ্টি একটা বাতাস বাইরে। নিয়ন আলোয় জ্বলছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। রাত তখন প্রায় সাড়ে ৯ টা। রিকশা যখন কলা ভবন পার করছে ঠিক তখনই হঠাত করেই রিকশা থামালেন তিনি। প্রতিদিন তিনি এই পথে মতিঝিল হয়ে আজিমপুর যান। আজ হঠাত করেই হোসেন সাহেবের অন্যরকম এক অনুভুতি ছুঁয়ে গেলো। রিকশা থামিয়ে তিনি কলাভবন মাঠের পাশে সাদা দেয়াল ধরে দাড়িয়ে পড়লেন। একটা টানা দুপুর, কয়েকটা ছেড়া বিকেল, শীতের সকাল, ভরা বর্ষায় পানি জমে ওঠা মাঠ। তারপর আরও অনেকগুলো শব্দ। আড্ডা দেয়া এক দল ছেলে-মেয়ে। ভাবতে ভাবতেই নোনা পানি বাধ ভাঙে চোখে। ফেলে আসা ২৫ বছরের স্মৃতি আজ তাকে পেয়ে বসেছে। চাকরি জীবনের ১৮ বছরে তার একবারও সময় হয়নি এই স্মুতিগুলোর সাথে হাত মেলাতে। দেয়াল ধরে হাটু মুড়ে বসে পড়লেন হোসেন সাহেব। অনেক হাসি-ঠাট্টার আওয়াজ তার কানে বাজছে। কত কত স্মৃতি এই পথে তার জন্য দাড়িয়ে ছিলো, কিন্তু কখনও সে পিছু ফেরেননি। চেনা বন্ধুদের মুখগুলো মনে পড়লো তার, মনে পড়লো আধ খাওয়া সিগারেটে সুখ টান। এক বারও সে তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। পকেটের ডাইরি বের করে অন্ধকারে হাতাতে লাগলো ফোন নম্বর। কিন্তু কারও নম্বরই তার কাছে নেই। নেই ফেলে আসা দিনের কোন অস্বিত্ব। পেছন থেকে রিকশা ওয়ালার ডাকে ঘোর কাটে তার। সেদিন বাড়ি ফিরে এক ফোটাও ঘুম হয়নি তার। শুধু ৮ বছরের মেয়ের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে হোসেন সাহেব বলেছিলেন, ‘নিজেকে কখনও ভুলিস না।’

প্রিয় গানের কিছু লাইন

[ গানটি যাত্রি ব্যান্ডের গাওয়া ]
প্রতিদিন - এগলি ওগলিতে ঘুরোঘুরি - কেটে যায় সময় - আসে রাত
মেয়েটা বাকা করে চুল - বাধে প্রেম করে দেখো - ছেলেটাও পরে - ফুল হাতা শার্ট
এই দেখে হাসাহাসি - গানটাকে ভালোবাসি
এই ভালো আছি এই - স্বপ্ন আমার
কখনও বুঝিনি যে তা - এটা ছিলোও... সুচনা
আছে বাকি স্বপ্নের - উপসংহার

মন... আধারের নিলিমায়, তোমাকেই আজ খুজতে চাই
জানি না - জানি না - কোথায় - পাবো তোমায়
একবার এসে দেখো আমায়